লেখক: স্বপন কুমার রায়
- 'হ্যালো।'
- 'তুমি!'
- 'হ্যাঁ, আমি।'
- 'কোথায় পেলে নম্বর?'
- 'তুমি তো নম্বর চেঞ্জ করোনি, করছো আমাকে।'
- 'তাহলে, এতদিন ফোন করোনি কেন?'
- 'রাগে-অভিমানে, আর কিছুটা ভয়ে...। গতকাল তোমাকে ডাক্তারের চেম্বারে দেখার পর থেকে কৌতুহলটা ধরে রাখতে পারছি না বলেই ফোনটা করলাম। তুমি কেন চেম্বারে গিয়েছিলে? তোমার কি হয়েছে? আমি তো তোমাকে কোন দিন অসুস্থ হতে দেখিনি, মাঝে মধ্যে অফিসের কাজের চাপ বেশি হলে পেসার ফিল করতে। কিন্তু, ডাক্তারের কাছে কখনোই যেতে না। মিমি, সকাল-সন্ধ্যায় বই নিয়ে বসে? টিউশনে যায়, হোমটাস্ক করে ঠিকমতো? আচ্ছা, তুমি আর সুজাতা তো এক বিছানায় থাকো, তাহলে মিমি কোথায় থাকে?'
- 'থামো। আমার কথা শোনো, তুমি তো দিব্যি সুখে আছো! এখনও সুজাতাকে সন্দেহ কেন করছো? কেন মিমির খোঁজ করছো?'
- 'এমনিই! সুজাতা কি আমার মতো আকাশি রঙের শার্ট পড়তে ভালোবাসে? গভীর রাত অবধি চ্যাট করলে তোমায় বকে? ডিলিট করা কললিস্ট খোঁজে?এখন মনে হয়, তোমার আর রং নম্বর থেকে কোনো ফোন আসে না। ও তোমাকে প্রতিদিন ভাত রেঁধে খেতে ডাকে? অফিস থেকে আসার পর প্রতিদিন তোমাকে চা বানিয়ে দেয়? রাতে জড়িয়ে ধরলে তুমি রাগ করো?'
- 'মিমির কথা জানতে চাইলে তো! মিমি এখন হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। আর...।'
দীর্ঘ রোগ-শোকের পর মা আশ্বিন মাসে
সপ্তমী পুজোর দিন চলে গিয়েছে,
শূন্য ঘর!
শূন্য ঘরটায় এখন কিছু ফুল দানি রাখা;-
টেবিলে নতুন করে জায়গা নিয়েছে
থরে থরে সাজানো গেলাস আর মদের বোতল;
তুমি শুনে খুশি হবে,
তোমার মিথ্যা অপবাদে সুজাতা আত্মহত্যা করেছে!
Please do not enter any spam link in the comment box.