কবি: আরণ্যক বসু
তােমাকে বলেছিলাম
কোজাগরীর চাঁদ চোরাগােপ্তা মেঘের
কোঁচকানাে ভুরু সহ্য করবে না
দেখলে, মিলে গেল!
ঠিক পাঁচটায় কেমন ঝাঁটপাট দেওয়া
তকতকে আকাশের উঠোন
যেন উপবাসসুন্দর একটি মেয়ে
একমনে এঁকে যাবে মা-লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ
তরপরেই, পশ্চিমে যাই যাই সুয্যি
আর, পুবে, উঠি উঠি।
সােনার থালা!
দেখলে, কেমন অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল!
আমার সমস্ত কবিতা ভেসে গেল
জোছনার বানভাসিতে!
তােমাকে বলেছিলাম-
শত অন্ধকারের কোন ফাঁক দিয়ে
বৃদ্ধ শালের কোন ফোকর গলে
গড়িয়ে পড়বে সাতরঙা আলাে
ঘাসফুলের কুঁড়িতে।
তারপর কুঁড়ি থেকে ফুল
ফুল থেকে দলছুট গন্ধ
গন্ধ থেকে কানাকানি
কানাকানি থেকে হাট
হাট থেকে মােড়ল, মােড়ল থেকে বিচার,
বিচার থেকে ফাঁসি
অমরত্ব থেকে উপকথা
উপকথা থেকে গান ।
গান মানে ভালােবাসা
ভালােবাসা মানে কোজাগরীর চাঁদ
জোছনায় পা ডুবিয়ে
সারারাত বসে থাকা অরণ্য বাংলােয়।
নাম-না-জানা কে জানে কার
আকুল ডাক!
চাঁদের দিকে ডানা মেলা
রাতচরা একঝাঁক পাখির দুঃসাহস।
কোজাগরী মানে
মৌসুমি মেঘের মিষ্টি হেসে বলা যাই…
তােমাকে বলেছিলাম
মনে আছে?
Please do not enter any spam link in the comment box.