কবি: রুদ্র প্রসাদ
স্মৃতির পটে জমাট পলি হঠাৎ উঠছে ভেসে
মলিনতার ছাপ সরিয়ে চাপের সামনে দেখা,
আলগা রঙে বেখেয়ালী ধূলায় লুটায় হেসে
শুকনো পাতায় আগুন ধরায় চমকিত রেখা।
দেনাপাওনার ফিকে বিধান অবনতি মাপে
আপন নাকি যাপন চেনে গণ্ডী কাটার দ্বন্দ্বে,
চোখ এড়ানো বিপরীতে প্রবল খরার তাপে
জীবন-নদী স্রোত বরাবর বয়েই চলে ছন্দে।
হলুদ পাখির ডানা বেয়ে নিমের ডালে বাঁধা
ভাবের লাভে এলোমেলো সজীবতার প্রথা,
কাকের নজর অন্ধ বলে বাসায় বাড়ে ধাঁধা
আসা-যাওয়ার ফাঁকে গুপ্ত ব্যবহারের কথা?
খেলনা-বাটির রান্নাঘরে গন্ধ পেয়ে বোকা
খাওয়ার বাকি অভিযানে বিষম লাগা অতি,
অনুনাদের লালায় মাখা রসে নড়া পোকা
লালন সুখে কিলবিলিয়ে নিতেই পারে গতি।
ঝলসানো নয় দুপুরের রোদ অদমিত পণে
কোলাহলের উল্লাস বেজে নীরবতা আসে,
জোয়ার-ভাটা তারস্বরে সুর সাজালে মনে
মাঠে-ঘাটের কুলীন পবন ছুঁয়ে যাবে ত্রাসে!
অথচ সার শূন্যের বুকে ছায়ার মায়া দিয়ে
সব অনুভব হারায় যদি অবসাদের ঘোরে,
দুয়ার খুলে কপাট কপট বরণডালা নিয়ে
বধির হয়ে অধীর থাকে প্রতিশ্রুতির ভোরে।
সময়ের দোর আগল তুলে দিতে থাকে যত
দিক নির্ণয়ে ভুলের পথে হেঁটে মেলে গরমিল,
অন্তে বিলীন তবু গাঙচিল অগোছালো তত
সুধার স্বাদে বিমোহিত পরিচয় তো অমিল।
শ্বরের চয়নে অনাথ আসর মুখে মন্দ ভালো
বিবেচনার মাঝেই আছে বহু এমন আভাস,
গুণের ঘরে ভাগের অঙ্ক কষেও বাঁচে আলো
পরিসংখ্যান বুঝিয়ে দেয় শতদলের আভাষ।
Please do not enter any spam link in the comment box.