লালমনিরহাট জেলা মোদের
রূপে-গুনে ভরা,
জ্ঞানী-গুনী সবাই আছে-
আছে ফসল ভরা!
উঠোন ভরা স্বপ্ন মুঠো-
আছে ধানের গোলা,
গাঁয়ের বধূর মুখে হাসি
যায় কী কভু ভোলা?
হালের গরু, লাঙ্গল-জোঁয়াল
কাস্তে, পাসুন হাতে,
বাপ-চাচারা যায় ছুটে যায়-
বুনতে ফসল মাঠে!
জেলেরা যায় মাছ ধরতে-
তিস্তা নদীর জলে,
মাছ ধরে সব বেঁচে হাটে-
ফিরে সন্ধে হলে!
গাঁয়ের ছেলে নেয়ে-খেয়ে
খেলার মাঠে ছুটে,
আনন্দ আর উচ্ছ্বলতায়-
যায় যে সময় টুটে।
গাঁয়ের মেয়ে মায়ের সাথে
করে রান্না-বান্না,
কখনও বা সামলিয়ে নেয়
ছোট্ট শিশুর কান্না!
মা-চাচীরা নতুন ধানে-
বানায় চিড়া-মুড়ি,
দাদু-দাদির কাছে অনেক
গল্প-কথার ঝুড়ি।
সন্ধা হলে লোক সমাগম
হাটে ও বাজারে,
রাত-দুপুরে বাড়ি ফিরে-
সদাই ব্যাগে ভরে।
চৈত্রমাসে মেলা বসে-
সুকানদিঘীর পাড়ে,
লেজ-ফিতা ও রেশমী চুড়ি
নানানও বাহারে!
কবি, লেখক, শিল্পী আছে
গাঁয়ে-লোকালয়ে,
সংস্কৃতির ধারক বাহক-
আপন পরিচয়ে!
রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী-
জনপ্রতিনিধি,
জনগনের পাশে দাড়ায়-
বিপদ আসে যদি!
বিমানবন্দর, স্থলবন্দর
এ জেলাতে আছে,
আরও আছে রেলওয়ে ভাই
বলছি সবার কাছে।
খাবার আছে অনেক কিছু-
আছে শিদল ভর্তা,
বাটা ভরা পান-সুপারি-
পানের সাথে জর্দা।
ধান,বাদাম,পাট,মিষ্টি আলু-
এ জেলাতে ফলে,
হয়;হরেক রকম শাক-সবজি
শীতের সময় হলে।
মোদের জেলার উপর দিয়ে-
বয়ে গেছে নদি,
সিংগীমারি, তিস্তা, সতী-
ধরলা, স্বর্ণামতি।
জাম,জলপাই,পেয়ারা,কাঠাল-
আম,আনারস,লিচু
ফলে এসব ফল-ফলাদি-
আরও অনেক কিছু।
এসব দিয়ে ভরা যে ভাই-
লালমনিরহাট জেলা,
হাসি মনে গানে গানে-
কাটে সারা বেলা!
Please do not enter any spam link in the comment box.