কবি: লিটন শব্দকর
নিবিড়ে ১
থাকি না হয় আমি একটু দিশেহারা;
পলকগুলিকে থাকতে দিয়েছি তাই
কলাপাতায় খিচুড়ির ঘ্রাণের দুপুরে,
তুমি এইটুকু দেখে জেনেছো বলেই
সহজবাড়িতে অর্কিডের পরিচর্যায়
তোমার হাতে অস্তরাগে রঙিন নক্সা।
নিবিড়ে ২
ধুলোখাম থেকে চারাগাছ কাহিনিকল্পে
ঝুরি নামতে গিয়ে যদি জং ধরে আসে
এভাবেই থাকুক এই হাতধরা ছায়াটুকু
হেমন্তঘ্রাণে আমার যাতায়াতের পাশে।
বাতাস থেকে চা ভর্তি মেহগনি কাঠের
কাপ নামিয়ে ফিনফিনে বিকেল রাখো,
উড়ো লেফাফাটি লুকোনোর অভ্যেসে
প্রিয় ঋতুটিকে জানালার কাঁচে লেখো।
নিবিড়ে ৩
শামিয়ানা টেনেছো ফেলে রাখা আকাশে!
পরোয়া নিশ্বাস ফেলে প্রতিক্রিয়া প্রকাশে,
যা কিছু অপূর্ণ তার ঘনঘটা নিস্প্রয়োজন।
নির্ভেজাল শ্রাবণ আসতে কটা দিন বাকি,
চাইলে ভিজতে পারো তুমিও, চাও না কি !
নিবিড়ে ৪
এ মুখরতায় আমন্ত্রণ জানাতে ভয় হয়
কারা যে জ্বালিয়ে ফেলে উষ্ণতা পেলে
সুখি সুখি বন্য টিয়ার খড়কুটোর বাসা
অথবা হরিণ আর খরগোশের আস্তানা।
পবিত্র নিভৃতি ভেঙে যায় বহু উপাচারে
নকল ফুলের মালার স্তূপের অহংকারে।
নিবিড়ে ৫
একবার প্রজন্মধারা ইজেলে তুলে নিতে
তুলি ডুবে যায় বিষরঙের আনাগোনায়।
বাৎসল্য যত্নের শংসাপত্র সহজ নয় খুব
মন নয়, স্নানঘরের আয়নায় প্রশ্ন লিখেই
জানতে চায় কলের জলের বরফ স্রোত
এই শরীরে পাপ বা পূণ্য কি করে আসে
আর ধুয়ে মুছে যায় জলের নীচে ভেসে!
ভালো লাগল
উত্তরমুছুন