কবি: লিটন শব্দকর
নিবিড়ে ৬
ফড়িংয়ের পাখায় বোঝাপড়ার বাতাস
খেলে গেলে সত্তাকে চুপিসারেই ডাকি।
এক একদিন প্রাপ্তির উপাস্য হয়ে ওঠে
বাগানবিলাসে সজ্জিত প্রাক্তন নৌকো;-
অভ্যাসের সামান্য মুহুর্তে গাছের ছালে
অনুভূতির পালিশ নখের ডগায় আঁকে
সাময়িক ডাকে ঘুমভাঙা গল্পের প্রচ্ছদ।
নিবিড়ে ৭
কথা বলো, আরও কিছু সময় যাক
মেলার জিলিপির গন্ধে ম ম গন্তব্য।
আমি তোমাকে খুঁজতে গিয়ে তখন
নির্জনতা ছেড়ে বিশ্বাসী হ্রদের জল
আঁজলায় পান করতে থাকি হঠাৎই;
দেখছি ব্রহ্মাণ্ড ফুরিয়ে তুমি দাঁড়িয়ে
বিশ্বাস জড়াও, এখন বিশ্বাস জড়াও
তোমার একুশ বছর বয়সই আসুক।
নিবিড়ে ৮
সুপুরির গাছ বেয়ে শামুক
তার ধীর পা মাটিতে রাখে,
পৃথিবীর ছন্দে তুমিই এসে
সবুজ বাঁশির তিনটি ছিদ্রে
আঙুল বসাও; সহজ রকম
তিন আঙুল সুর আমি দিই।
ফুঁ দাও, সুর দাও একবার!
অলিন্দে হাত দিয়ে দেখো
সোনার তার উঠবে বেজে;-
এসব গান একদিনে লিখে
শেষ করতে চাই না আজ।
তার চেয়ে বরং কথা বলো,
গান গাও আর আরও সুর।
নিবিড়ে ৯
জন্ম জন্ম নিমগ্ন দৃষ্টি আমার চোখে,
তোমার হাতের তালুর উপাস্য সুখে।
সারাদিনের তপ্ত পাহাড়তলির রোদ;
নেমে এলে এক কলসি জল ঢালো।
বনের কোনো ভগ্নপ্রায় নকশা কাটা,
নির্জনতম পাথুরে দেবীর হাত দিয়ে।
নিবিড়ে ১০
শোনো, কান রাখো নারকেল পাতার হাওয়ায়,
শোনো প্রতিদিন যে বেড়ালটা তোমার বাড়িতে
খেতে আসে, দেয়ালে তার ছোট নখের আঁচড়
অনুভব করো - দুপুরের আনাচে যে প্রজাপতি
তুমি দেখোনি, তার ডানাতেও হাওয়ার শনশন।
Please do not enter any spam link in the comment box.